১৯৮৭ সালের এরশাদিয় বাংলা পঞ্জিকা হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতিকে শুধু বিভক্তই করে নাই, এখানে রয়েছে সুদূর প্রসারী সাম্প্রদায়িক প্রভাব, যা বাঙালী ও বাংলা সংস্কৃতিকে ভেঙেচুড়ে দ্বিখণ্ডিত করেছে ! যদিও এই চেষ্টা মুঘলদের আমল থেকেই হয়ে এসেছিল তবুও এরশাদ আমলে যেটা হয়েছে তার কোন যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানীক সঠিক ব্যাখ্যা নেই। আজ তো প্রায় এটাই প্রতিষ্ঠিত মুঘল সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রচলন করেন, কিন্তু তা ডাহা মিথ্যা কথা ! পহেলা বৈশাখ বাঙালীর হাজার বছরের সংস্কৃতি। মুঘল সম্রাট আকবর ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান একজন মুঘল সম্রাট তিনি যখন দেখেন এ উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ একটি বিশেষ গুরুত্তপূর্ণ দিন, তিনি তখন তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ভাবনায় এই দিনটিকে একটি ব্যবসায়িক সম্ভাবনার পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য, এবং উৎসব মুখর বাঙালী সমাজে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য বাংলা পহেলা বৈশাখ কে আরো জাকজমকপূর্ণ এবং আড়ম্বর করে পালন করার সূচনা করেন মাত্র। আমি কথাটা বারবারই বলি কারণ বাংলা সংস্কৃতি কোন ধর্মের বা বর্ণের নয়, এটা বাঙালীর। এটাকে ভেঙে টুকরো করে যারা সংস্কৃতি কে বিভক্ত করতে চান, নিশ্চই তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন কারন, ভাঙাচোড়া সংস্কৃতিতে সব কিছুই বিভ্রান্ত ও ধোয়াশায় ভরা। গোজামিল দিয়ে কোন কিছুই স্থায়িত্ব পায় না।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন