শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮

বাংলা সংস্কৃতিতে ফাটল

১৯৮৭ সালের এরশাদিয় বাংলা পঞ্জিকা হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতিকে শুধু বিভক্তই করে নাই, এখানে রয়েছে সুদূর প্রসারী সাম্প্রদায়িক প্রভাব, যা বাঙালী ও বাংলা সংস্কৃতিকে ভেঙেচুড়ে দ্বিখণ্ডিত করেছে ! যদিও এই চেষ্টা মুঘলদের আমল থেকেই হয়ে এসেছিল তবুও এরশাদ আমলে যেটা হয়েছে তার কোন যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানীক সঠিক ব্যাখ্যা নেই। আজ তো প্রায় এটাই প্রতিষ্ঠিত মুঘল সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রচলন করেন, কিন্তু তা ডাহা মিথ্যা কথা ! পহেলা বৈশাখ বাঙালীর হাজার বছরের সংস্কৃতি। মুঘল সম্রাট আকবর ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান একজন মুঘল সম্রাট তিনি যখন দেখেন এ উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ একটি বিশেষ গুরুত্তপূর্ণ দিন, তিনি তখন তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ভাবনায় এই দিনটিকে একটি ব্যবসায়িক সম্ভাবনার পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য, এবং উৎসব মুখর বাঙালী সমাজে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য বাংলা পহেলা বৈশাখ কে আরো জাকজমকপূর্ণ এবং আড়ম্বর করে পালন করার সূচনা করেন মাত্র। আমি কথাটা বারবারই বলি কারণ বাংলা সংস্কৃতি কোন ধর্মের বা বর্ণের নয়, এটা বাঙালীর। এটাকে ভেঙে টুকরো করে যারা সংস্কৃতি কে বিভক্ত করতে চান, নিশ্চই তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন কারন, ভাঙাচোড়া সংস্কৃতিতে সব কিছুই বিভ্রান্ত ও ধোয়াশায় ভরা। গোজামিল দিয়ে কোন কিছুই স্থায়িত্ব পায় না।।

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

তিনপায়া চেয়ারে এ কোন উদ্ভট বাংলাদেশ ও একটি পরিস্কার আক্ষেপ

সাম্প্রদায়িকতা কে আমি শ্রদ্ধা করি। কেননা সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মীয়ভাবেই বিশ্লেষিত হয় না । যে কোন সমাজে, জাতিতে, সংস্কৃতিতে, সভ্যতায় তার মানুষগুলো তাদের আচার, ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজ, সংস্কার, স্বজাত্ব্যবোধে অতি মাত্রায় সচেতন থাকবে এটাই কাম্য। ধরেন যদি বাংলাদেশী হিসাবেই আমরা সাম্প্রদায়িক হতাম তবে আমরা এতটা পিছিয়ে থাকতাম না। আমি ধর্মীয়ভাবে সাম্প্রদায়িক কট্টরতা ও সাম্প্রদায়িক হানাহানির বিরুদ্ধে চরমপন্থী। আবার রাষ্ট্রিয় ভাবে একজন চরমপন্ত্রী সাম্প্রদায়িক বাঙালী ও বাংলাদেশী হিসাবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরোধী সিদ্ধান্ত ধর্ম ভিত্তিক সংবিধান আমায় কষ্ট দেয়। "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" যেখানে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের এক গভীর সেতুবন্ধন রয়েছে। গণতন্ত্র একটি অতি আধুনিক রাষ্ট্রিয় কাঠামো ব্যবস্থা, আবার "Democracy is the road to socialism - Karl Marx" যা আমি বিশ্বাস করি। জাতিরপিতা আমাদের তাই গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র মিলিয়ে সেই ৭২ এই একটি অতি আধুনিক ও অন্যন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা উপহার দিয়েছিলেন যা ছিল সারা বিশ্বের বিশ্ময় । যে জীনতত্ত্বে রাষ্ট্রধর্ম বলে কিছুই ছিল না। আমাদের সংবিধান সেই ৭২ এই ছিল অতি আধুনিক একটি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রিয় কাঠামো ব্যবস্থা। তারপর কি হল, বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করলাম । অন্ধ্যকারের সম্রাট জিয়া নিষিদ্ধ ধৈর্মীয় রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করল বাংলাদেশে। তার আরো পরে আরেকটি কুলাঙ্গার সৈরাচারী এরশাদ রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করল। আমরা ফিরেগেলাম পাকিস্তানে, ফিরে গেলাম জিন্নার পথে। আবারো সভ্যতার আধুনিকতা থেকে আমরা চলেগেলাম সভ্যতার আদিম গহ্বরে । এখন ২০১৮ এখনো আমরা সেই সভ্যতার আদিম গুহা থেকে বেরুতে পারিনাই। হায় বাংলাদেশ! বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি এই বাংলাদেশে একটি অসাম্প্রদায়িকতার চারা বুনেছি, কখনো যদি এই চারা সংকটে পড়ে তবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে । এই অস্তিত্ব সংকটে পড়েথাকা ভালবাসার মাতৃভূমিকে নিয়ে আমি বেশ কষ্টেই আছি। না হলে আজ এগুলো লিখতাম না। আপনারা সবাই জানেন এইতো কিছুদিন আগেও নেপাল ছিল হিন্দু সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। কিন্তু অনেক দেরীতে হলেও নেপাল তার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে তারা এতটা পরে হলেও মানুষ হতে পেরেছে, রাষ্ট্র ধর্ম তুলেদিয়ে তারা ধর্মীয়ভাবে অসাম্প্রদায়িক নেপাল হতে পেরেছে। তারা আদিম থেকে আধুনিক হয়েছে, আর আমরা সভ্যতার চরম আধুনিকতায় পৌছেও স্বেচ্ছায় আদিম গহ্বরে পুনঃরায় ফিরে গিয়েছি, আজও আছি। কেন আজ এগুলো লিখলাম বা বললাম জানেন? শুধুমাত্র এই একটি বিষয় দিন দিন আমাদের পৃথক করে দিয়েই চলেছে, কট্টরতায় চারিদিক নীলাভ হয়ে উঠেছে । তাইতো এখনো এদেশে অনেকেই পানি ও জলের ভেতর পার্থক্য খোজে, কোথায় আবার ভাই ও দাদার ভেতর । আবার তাদের ফেসবুক ওয়ালে গেলে দেখাযায় ৭২ এর সংবিধানের বাস্তবায়ন চাই! কি আজব আমরা তাই না পুত্র হয়ে পিতাকে মেরেছি, আবার নিজ হাতে নিজের জীনতত্ত্ব পাল্টে দিয়েছি। বলুন তো জেনম পাল্টালে কি আপনার অস্তিত্ব কে আপনি খুজে পাবেন? কিভাবে জন্মহল আপনার, তাই হবে অষ্টম আশ্চার্য। আপনি কি আপনার প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম নিয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন, কৈ আমি তো পারি না। এখন বুঝি একজন মুসলিম হয়েও কেন হুমায়ন আজাদ বলেছিলেন- "এদেশের মুসলমান এক সময় মুসলমান বাঙালি, তারপর বাঙালি মুসলামান, তারপর বাঙালি হয়েছিলো; এখন আবার তারা বাঙালি থেকে বাঙালি মুসলমান, বাঙালি মুসলমান থেকে মুসলমান বাঙালি, এবং মুসলমান বাঙালি থেকে মুসলমান হচ্ছে। পৌত্রের ঔরষে জন্ম নিচ্ছে পিতামহ।" বাংলাদেশের কোন সরকার কি কখনো দেশের মানুষের বিবর্তিত উদ্ভট কট্টর সাইকোলজি নিয়ে চিন্তিত হয়েছে? নাগরিকদের সাইকোলজিক্যাল অবক্ষয় নিয়ে গবেষণা করেছে? নানা কৈশলে অবক্ষয় থেকে সমাজ সংস্কারের চেষ্টা করেছে, সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেছে? আজ যারা বিশ্ব শাসন করছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা সবাই তাদের দেশের হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে স্টাডি করে, ট্রিটমেন্টও দেয়। আমরা করিনাই, করছি না, তাই আজ মুক্তিযোদ্ধা অথবা আওয়ামীলীগ, অথবা অতি সাধারণ বাপের ছেলেরা জঙ্গীতে পরিণত হচ্ছে। আমার কষ্ট লাগে কারণ কিছু কিছু মানুষ আমাকে মাঝে মাঝে এমন ভাবে তাচ্ছিল্য, কটাক্ষ করে যেমন কটাক্ষ কখনো কোন বাঙালী, বাংলাদেশীরা ওই বিহারী ক্যাম্পের বিজাতি পাকিদেরকেউ করেনাই। এই দেশ আমার, এই মাটি আমার, কোন কোন ক্ষেত্রে এই মাটিতে আমার অস্তিত্বের অবস্থানের দলিল তাদের অনেকের অস্তিত্বকেউ প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তবুও আমি আমার মাটিতেই তাচ্ছিল্যের বস্তু ওই বিহারীরাও আমার চাইতে উপরের স্তরের বাঙালী ও বংলাদেশী। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা । তারপরেও আমি ১ম শ্রেণীর নাগরিক নয়। কেন, কিভাবে, কোন শর্ত বলে? হিসাব একটাই রাষ্ট্রধর্ম। একটি সাধারণ জ্ঞ্যানের প্রশ্ন করি - বলেন তো বাংলাদেশের জন্মের মূল ভিত্তিগুলো বা জীনতত্ত্ব টা কি? না জানলে বলেদেই-----
১) গণতন্ত্র ২) সমাজতন্ত্র ৩) জাতীয়তাবাদ ৪) ধর্ম নিরপেক্ষতা। যে চারপায়া চেয়ারের উপর জাতির অবস্থান ছিল, বাঙালী ও বাঙালীত্বের মেরুদন্ড ছিল তার এক পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তিনপায়া চেয়ারে বসা জাতি পড়েযেয়ে মেরুদন্ড ভেঙে ফেলবে, বিভ্রান্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবুও লড়াই করছি, মৃত্য অবধী শেখের বেটির সাথে লড়েই যাব, কেননা এই তিনপায়া চেয়ারের আরেকটি পা যদি কেউ একজন ফিরিয়ে দিতে পারে সে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা। "মানুষ বাচে আশায়, দেশ বাচে ভালবাসায়"। আজ আমাদের ভালবাসা এতটাই প্রবল হয়েছে যে শেখ হাসিনা ব্যাতিত আর একজনকেউ খুজে পাওয়া যায় না, যার দ্বারা চারপায়া চেয়ারের ভেঙে দেওয়া একপায়া আবারো জোরা লাগানোর আশ্বাস পাওয়া সম্ভব। তিনপায়া চেয়ারে বসে এ এক উদ্ভট জাতি এগিয়ে চলছে বিভ্রান্তির পথে।

"বঙ্গাব্দ"


বঙ্গের অব্দ, এই অর্থে বঙ্গাব্দবঙ্গাব্দবাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মণ্ডিত  সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। এই অব্দ শকাব্দের ৫১৫ বছর পরে প্রচলিত হয়। বঙ্গদেশে কবে থেকে বর্ষ গণনা শুরু হয়েছিল, তার যথাযথ ইতিহাস জানা যায় না। কেউ কেউ বলে থাকেন, প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯৩-৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন ৷ সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন।মূলত বঙ্গাব্দ হলো বঙ্গদেশের বর্ষগণনার একটি ধারাবাহিকতার একটি ফসল। কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বঙ্গাব্দ নামের অব্দ শুরু হয়েছিল, তা বলা যায় না। বিক্রামাব্দ, লক্ষ্মণাব্দ ইত্যাদির মতো অত সহজে বলা যায় না অমুকে অমুক সময় বঙ্গাব্দ নামে একটি অব্দ চালু করেছিলেন।বঙ্গাব্দ-সহ ভারতীয় সকল অব্দের শুরুটা হয়েছিল মূলত বৈদিক ঋষিদের দ্বারাই। আর্যরা যখন বঙ্গদেশে প্রবেশ করেছিল, তখন এই অঞ্চলের আদিবাসীরা বর্ষগণনা করতেন কি না তা জানা যায় না। সেকালের বৈদিক ঋষিরা ছিলেন সর্বভারতীয়। আর্য ঋষিরা জ্যোতির্বিজ্ঞানর চর্চা করতেন জানার আগ্রহে। সে অধীত জ্ঞান আবার একই সাথে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড প্রতিপালনের জন্য ব্যবহার করতেন। এই সূত্রে আর্য ঋষিরা, খালি চোখে দেখা যায় এমন দূর আকাশের নক্ষত্রাদি, সূর্য, গ্রহাদি (খালি চোখে দেখা যায় এমন গ্রহগুলো), চন্দ্র ইত্যাদির গতিপথ এবং পৃথিবীর ঋতুচক্র ইত্যাদি মিলিয়ে পঞ্জিকার পত্তন ঘটিয়েছিলেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টাই এক সৌর বছর। গ্রেগরীয় সনের  মতন বঙ্গাব্দেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল ‌বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র মাসের নামগুলো গৃহীত হয়েছে ভারতীয় জ্যোতির্বজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণের সূত্রে। প্রাচীন ভারতীয় বাহর্স্পত্য সংবৎ -এ বাংলা মাসের নামগুলো পাওয়া যায়। ভারতের একটি অন্যতম অব্দ ও বিক্রমাব্দশুরু হয়েছিল ৫৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে। এই অব্দের মাসগুলো বাংলা মাসের নামের মতোই। এরপরে আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো অব্দ পাই ও শকাব্দ। এক সময় বাংলাদেশে এই অব্দ অনুসরণ করা হতো। ১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দের  পূর্বকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিক্রমাব্দ এবং শকাব্দ বিশেষ স্থান দখল করে ছিল। আকাশে রাশিমণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বঙ্গাব্দের মাসের হিসাব হয়ে থাকে। যেমন যে সময় সূর্য মেষ রাশিতে থাকে সে মাসের নাম বৈশাখ। বাংলা মাসের নামগুলো গৃহীত হয়েছে ভারতীয় জ্যোতির্বজ্ঞানের ক্রমধারার সূত্রে। ভারতের আর্যদের দ্বারা প্রণীত বেদকে আদিগ্রন্থ বলা হয়। বেদের আনুষঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে ছয় প্রকার শাখা তৈরি হয়েছিল। এই শাখাগুলি বেদাঙ্গ নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এর ভিতরে পঞ্চম শাখা হলো–  জ্যোতিষজ্যোতিষশাস্ত্র প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত। এই ভাগগুলো হলো–  গণিত, হোরা এবং সংহিতাজ্যোতিষশাস্ত্রের গণিত দুই ভাগে বিভক্ত। এই ভাগ দুটি হলো–  সিদ্ধান্ত  করণ ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বরাহমিহির "পঞ্চসিদ্ধান্তিকা" নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটি পাঁচটি খণ্ডে সমাপ্ত। এই গ্রন্থটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চসিদ্ধান্তিকার পাঁচটি খণ্ডের নামএই সিদ্ধান্তগুলো হল– সূর্যসিদ্ধান্তবশিষ্ঠসিদ্ধান্তপৌলিশ সিদ্ধান্তরোমক সিদ্ধান্ত  ব্রহ্ম সিদ্ধান্তপ্রাচীন দিন, মাস, বৎসর গণনার ক্ষেত্রে 'সূর্যসিদ্ধান্ত' একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল। বরাহমিহিরের পরে ব্রহ্মগুপ্ত নামক অপর একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী (জন্ম ৫৯৮) একটি সিদ্ধান্ত রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটির নাম ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত

ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে সৌর-মাস নির্ধারিত হয়, সূর্যের গতিপথের উপর ভিত্তি করে। সূর্যের ভিন্ন অবস্থান নির্ণয় করা হয় আকাশের অন্যান্য নক্ষত্রের বিচারে। প্রাচীন কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যের বার্ষিক অবস্থান অনুসারে আকাশকে ১২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এর একটি ভাগকে তাঁরা নাম দিয়েছিলেন রাশি। আর ১২টি রাশির সমন্বয়ে যে পূর্ণ আবর্তন চক্র সম্পন্ন হয়, তার নাম দেওয়া হয়েছিল রাশিচক্র। এই রাশিগুলোর নাম হলোমেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। আবার অন্যদিক থেকে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সমগ্র আকাশকে একটি বৃত্তাকার চক্র হিসাবে কল্পনা করে ২৭টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এই ভাগগুলোকে নক্ষত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এই নক্ষত্রগুলো হলোঅশ্বিনী, ভরণী, কৃত্তিকা, রোহিণী, মৃগশিরা, আর্দ্রা, পুনর্বসু, পুষ্যা, অশ্লেষা, মঘা, পূর্ব-ফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, বিশাখা, অনুরাধা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, পূর্বভাদ্রপদা, উত্তরভাদ্রপদা এবং রেবতী। এর ফলে নক্ষত্রের স্থানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬০/২৭ ডিগ্রি= ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট=৮০০ মিনিট। সূর্যের বার্ষিক অবস্থানের বিচারে, সূর্য কোনো না কোন রাশির ভিতরে অবস্থান করে। এই বিচারে সূর্য পরিক্রমা অনুসারে, সূর্য যখন একটি রাশি থেকে অন্য রাশিতে যায়, তখন তাকে সংক্রান্তি বলা হয়। এই বিচারে একবৎসরে ১২টি সংক্রান্তি পাওয়া যায়। মূলত একটি সংক্রান্তির পরের দিন থেকে অপর সংক্রান্ত পর্যন্ত সময়কে এক সৌর মাস বলা হয়। লক্ষ্য করা যায়, সূর্য পরিক্রমণ অনুসারে সূর্য প্রতিটি রাশি অতিক্রম করতে একই সময় নেয় না। এক্ষেত্রে মাসভেদে সূর্যের রাশি অতিক্রমের সময় হতে পারে–  ২৯, ৩০, ৩১ বা ৩২ দিন। সেই কারণে একটি বৎসরের ১২ মাসের দিন সংখ্যা সমান হয় না। মাসের নামকরণের ক্ষেত্রে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মূল তিনটি সূত্রকে অনুসরণ করেছিলেন। সূত্র তিনটি হলো
v  প্রথম বিবেচনা করা হয়, সূর্য কোন রাশিতে অবস্থান করেছে।
v  ওই রাশিতে সূর্য কখন প্রবেশ করেছিল এবং কবে ?
v  ওই রাশিতে অবস্থানকালে পূর্ণিমার সময় সূর্য কোন নক্ষত্র বরাবর ছিল।

এই তিনটি সূত্রের উপর ভিত্তি করে মাসের দিন সংখ্যা এবং নাম বিবেচনা করা হয়েছে। ধরা যাক বৎসরের কোনো এক সময় সূর্য মেষ রাশিতে আছে। যে মুহূর্তে সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে, সেই মুহূর্ত থেকে মেষরাশির মাস শুরু হবে। যে  মুহূর্তে সূর্য মেশ রাশি অতিক্রম করে, পরবর্তী বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবে, সেই মুহূর্তে মেষ রাশির মাস শেষ হবে যাবে। তৃতীয় সূত্রানুসারে, মেষরাশির পূর্ণিমার সময় সূর্য বিশাখা নক্ষত্রের উপর অবস্থান করেছিল, এই কারণে বিশাখা নক্ষত্রের নামানুসারে মেষ রাশির মাসটির নামকরণ করা হয়েছিলবৈশাখ। এই সূত্রে ১২টি মাসের নামকরণ করা হয়েছিল। বেদাঙ্গ মতে বর্ষ শুরু হতো অগ্রহায়ণ মাসে। উল্লেখ্য সংস্কৃত ও অয়নবৎসর। বৎসরের অগ্র হিসাবে এই মাসের নাম ছিল অগ্রহায়ণ। মূলত সে সময়ে বৎসর শুরু হতো বৃশ্চিক রাশিতে, মৃগশিরা নামক নক্ষত্রের নামানুসারে মাসের নাম মার্গশীর্ষ না হয়ে দাঁড়িয়েছিল অগ্রহায়ণ বাংলা মাসের নামগুলো গৃহীত হয়েছে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্রমধারার সূত্রে। এই নামগুলি মূলত মহাকাশীয় বস্তু (গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র) থেকে গৃহীত হয়েছে।

দিনের নাম
মহাকাশীয় বস্তু
সোম
চন্দ্র
মঙ্গল
মঙ্গল গ্রহ
বুধ
বুধ গ্রহ
বৃহস্পতি
বৃহস্পতি গ্রহ
শুক্র
শুক্র গ্রহ‌
শনি
শনি গ্রহ
রবি
সূর্য
বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গআসাম  ত্রিপুরা অঞ্চলে এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়। বঙ্গাব্দ শুরু হয় পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে।




"শকাব্দ"


শকাব্দ এক প্রাচীন সৌর অব্দ যা ভারতীয় উপমহাদেশে বহুলপ্রচলিত ছিল ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে। পরবর্তিতে বিট্রিশদের আগমনের পরে আস্তে আস্তে খ্রীষ্টাব্দের প্রচলন শুরুহয় এই উপমহাদেশে। এই অব্দ বঙ্গাব্দের ৫১৫ বছর পূর্বে এবং খ্রিস্টাব্দের ৭৮ বছর পরে প্রচলিত হয়। শকাব্দের উৎস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতানুসারে প্রাচীন ভারতীয় নৃপতি শালীবাহনের প্রয়াণ দিবস থেকেই শকাব্দের সূচনা। রাজা শালীবাহনের রাজত্বকালে একবার বহিরাগত শক জাতি তাঁর রাজ্য আক্রমণ করে। তখন শালীবাহন শকদের পরাজিত করেন এবং শকারিউপাধি গ্রহণ করেন। সেখান থেকেই এই অব্দের নাম হয় শকাব্দ। শকাব্দ একটি সৌর অব্দ এবং পূর্বে এর মাস এবং দিনাঙ্ক গণিত হত খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে উদ্ভূত প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিষয়ক গ্রন্থ সূর্যসিদ্ধান্তেরসৌরবর্ষ গণনার বিধি মান্য করে অর্থাৎ রবিসংক্রান্তি অনুসারে। বাংলাদেশে  শকাব্দ প্রচলন করেন দাক্ষিণাত্য থেকে আগত সেন রাজবংশ একটি রাশি থেকে অপর একটি রাশিতে সূর্যের আপাতগমনের  ফলে মাস পরিবর্তিত হয়। পূর্ব ভারতে প্রচলিত বঙ্গাব্দে এবং ভাস্করাব্দে বর্ষগণনার ক্ষেত্রে এখনও এই প্রাচীন পদ্ধতিটিই অনুসৃত হয়ে থাকে। শকাব্দে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সময়ে বর্ষারম্ভ হত। যেমন উত্তর ভারতে বছর শুরু হত চৈত্র মাসে কিন্তু পূর্ব ভারতে নববর্ষ অনুষ্ঠিত হত বৈশাখ মাসে। ভারতীয় ইতিহাসের আধুনিক যুগেও অন্যান্য অব্দের পাশাপাশি শকাব্দের ব্যবহার বহুলভাবে লক্ষিত হয়। আসামে "ভাস্করাব্দ" নামক একটি অব্দ প্রচলিত থাকলেও শকাব্দের ব্যবহারই বহুল প্রচলিত। সূর্যসিদ্ধান্তের প্রাচীন নিয়ম মেনেই অসমে ১ বহাগ (বৈশাখ) পালিত নববর্ষ উৎসব "বহাগ বিহু" থেকে শকাব্দ গণনা করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্গদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক এবং সাময়িক পত্রে শকাব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা




মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৪০)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, সেই রক্তাক্ত বাংলাদেশের কথা ২০০১-২০০৬, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সে সময় রাজনৈতিক হত্যা হয়ে উঠেছিল প্রত্যাহ ব্যাপার ! আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যে সে সময় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদেরকেই হত্যা ও হত্যা চেষ্টা প্রতিনিয়ত হত শুধু তাই নয়, অগণিত আওয়ামী সমর্থক, কর্মী হত্যার মাধ্যমে সেই বাংলাদেশ হয়েছিল রক্তাক্ত, মানবতা হয়েছিল লাঞ্ছিত! মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা এবং নাগরিক কমিটি মনোনিত প্রার্থী তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাস্থ করার সবরকম চেষ্টাই করা হয়, তারই অংশ হিসাবে ২১ এপ্রিল ২০০৫ সালে তার দুজন সমর্থক ঘাট শ্রমিক নেতা শাহাবুদ্দিন এবং শাহাজাহান কে জোট সরকারের নির্দেশে পুলিশ গুলিকরে হত্যা করে! মনে পড়ে কি সেই রক্তাক্ত বাংলাদেশের কথা ?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৯)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ২০০১-২০০৬ সালের কথা, উদ্দেশ্যমূলক হত্যা যেখানে নিত্যনৈমিত্যিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল, গ্রেণেড যখন খেলার সামগ্রীতে পরিণত হয়েছিল, সাংস্কৃতিক মুক্তদ্বারকে গলাটিপে হত্যা যখন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছিল, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কোন ব্যাপারই ছিল না, ধর্ষন ছিল জোট সরকারের সোনার ছেলেদের আমোদ-প্রোমদের বিষয় সেই বাংলাদেশের কথা? সেই সময়ে মোঃ রাজ্জাক মন্ডলদের মত লাশে পরিণত হতো প্রায়ই সাধারণ মানুষ। ছবিটির হত্যভাগ্যের নাম মোঃ রাজ্জাক মন্ডল, বিএনপিরস্নত্রাসীদের হাতে নিহত এই হতভাগ্যের বাড়ি ছিল পাবনার সদর উপজেলার বাগদিপাড়ায়! মনে পড়ে কি সে সব দিনের কথা ?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৮)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর নবী ৭১ এ পাকিস্তানীদের পরাজিত করেছিল, কিন্তু হত্যা হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের হাতে ! মনে পড়ে কি বাংলাদেশ জোট সরকারের জনৈক প্রতিমন্ত্রীর সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যা হয়েছিল আমাদের নাটোরের লালপুরের নিভৃত গ্রাম হাবিবপুরের তরুন মোঃ মোয়াজ্জেম হক? আজ যারা মাহমুদুর রহমানের সামান্য রক্তের লাল রঙ দেখে প্রলাপ বকছেন, সেদিন আমাদের রক্তের নদী বুকের উপর দিয়ে বইছিল, লাশের ভারে কাঁধ অচল হয়ে পড়েছিল সে দিনের কিছু কথা কি বলবেন প্লিজ? মনে আছে তো সেসব কথা ?

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৭)?

মনে পড়ে কি, ২০০১-২০০৬ কিভাবে এই বাংলাদেশ জঙ্গীবাদের বিষবাস্পে নিমজ্জিত হয়েগিয়েছিল। গ্রেণেড তখন খেলার সামগ্রী ছিল। আওয়ামীলীগ মানেই ছিল গ্রেণেড মেরে উড়িয়ে দেবার অথবা জবাই করে ফেলে রাখার বস্তু। কিন্তু সেই সন্ত্রাস কিন্তু শুধুই যে আওয়ামীলীগের উপর ছিল তা নয়! সেই উদ্দেশ্যমূল্ক সন্ত্রাস ও হত্যাযগ্য ছিল সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি, লেখক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের উপর। সেই উদ্দেশ্য মূলক হত্যার নির্মম ছোবল থেকে রক্ষা পাননি বিশিষ্ট লেখক, কবি, শিক্ষক ডঃ হুমায়ুন আজাদ। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা নির্মম পাশবিক হামলা চালায়। প্রাথমিক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলেও, সেই ধকল আসলে তিনি বইতে পারেন নাই। সুদূর জার্মানীর মিউনিখে তিনি রহস্যজনকভাবে মারা যান। এই যে বাংলাদেশ মনে পড়ে কি সেদিনগুলোর কথা ?

শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৬)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ ২০০৪ সালের ২৭শে জুন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সন্ত্রাসীরা হত্যা করে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির বালুকে ? সেদিন দেশের গণতন্ত্রে কোন বাধা পড়েনি, বাকস্বাধীনতায় কোন বাধা পড়েনি, সেদিন দেশে কোন রাজনৈতিক হত্যা হয়নি, কিন্তু আজ দেশ পক্ষাঘাতে ভুগছে তাই না? যারা এসব বলছে তারা এদেশ কে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার সব ক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। আসুন বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠনকে প্রতিহত করি, করি বর্জন।।

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৫)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, বাগেরহাটের ছবি রাণী বিশ্বাসের কথা ? বিএনপি জামাতের সদ্যুসের হাতে সম্ভ্রম হারানো ছবি রানী বিশ্বাস যখন হাসপাতালে পড়ে ছিল, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছুটে গিয়েছিলেন তার পাশে। বাকরুদ্ধ পরিবেশ তখন শান্তনা দেবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিল। আজকের এই বাংলাদেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য হাল যখন শেখ হাসিনার হাতে, তখন ওই কুলাঙ্গারের দল গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্র নাই বলে মাতম করছে! কি বাংলাদেশ জবাব টা কি, দেশে নিশ্চই তখন গণতন্ত্র ছিল আর এখন নাই ?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৪)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের হাছান শিকদার, লাউকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা কমিটির সদস্য ছিলেন, যাকে ২০০৩ সালের ২৭ অক্টোবর স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে স্ত্রী, কণ্যা ও পুত্রবধূর সামনে প্রথমে গুলি ও টেটাবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারপর পৈশাচিক উল্লাসে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেই ক্ষান্ত হয়েছিল! কি বাংলাদেশ আজকের দিনগুলি নিশ্চই তার চেয়েও খারাপ যাচ্ছে তাই না, সেদিন নিশ্চই দেশে গণতন্ত্র ছিল কিন্তু আজ নেই!!! আসুন সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামাত কে পরিহার করি ।।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩৩)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, ঝিনাইদহের প্রবীন আওয়ামীলীগের নেতা ডাঃ সুধীন্দ্র নাথের কথা? জীবন বাচাতে দল-মত, ধনী-গরীবের পাশে ছুটে যেতেন যে হিতৈষী চিকিৎসক, বিএনপি-জামাত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তাকে বাচতে দেয় নি ! সেদিন বাংলাদেশে নিশ্চই গণতন্ত্র ছিল, কি বাংলাদেশ ছিল না ?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩২)?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌরসভাধীন কমরদিয়া গ্রামের গৃহবধু জয়ন্তী রানী আচার্য্যের কথা (স্বামী দেবেন্র কুমার আচার্য্য)। ২০ মার্চ ২০০৫ সালের গভীর রাতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বিএনপির ৭ সন্ত্রাসী! বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা মূলত কমরদিয়া সহ আশেপাশের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাদের উৎখাত এবং সম্পত্তি দখলের নিমিত্তেই এভাবে পাষবিক নির্যাতন চালায় সেখানে! সেদিন মানবাধিকার কোথায় ছিল জানতে পারি কি বাংলাদেশ? আজ তো দেশে মানবাধিকার নাই তাই না ?

মনে পড়ে কি বাংলাদেশ(৩১)?



মনে পড়ে কি বাংলাদেশ ৪ আগষ্ট ২০০৩ সালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাছান শিকদারের নাতি তরুণ আওয়ামীলীগ কর্মী ইব্রাহীম মোল্লাকে প্রকাশ্য দিবালোকে তার মায়ের কোলে কুপিয়ে হত্যা করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ? সেদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ব্যাপক চর্চা ছিল তাই না ?